রাকিব শান্ত, উত্তরবঙ্গ ব্যুরো প্রধান:
বগুড়া সদর থানা পুলিশের অভিযানে দস্যুতার সাথে জড়িত তিনজন গ্রেফতার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার শিববাটির বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান নামক টিএমএসএস পুরান বগুড়া শাখার ফিল্ড সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত এক ব্যক্তি তার নারী সহকর্মী সহ গত ২০শে মে তারিখ দুপুর অনুমান ২.৪৫ ঘটিকার সময় বিভিন্ন ঋণ গ্রহীতাদের নিকট হইতে কিস্তির টাকা উত্তোলন করে পুরান বগুড়া যাচ্ছিলেন।
যাওয়ার পথে সরকারী আজিজুল হক কলেজের ভিতরে ক্যান্টিনের সামনে দিয়ে মোটর সাইকেলে যাওয়ার সময় বাদী স্ত্রীর ফোন কল রিসিভ করার জন্য ক্যান্টিনের সামনে রাস্তায় মোটর সাইকেল দাঁড় করিয়ে কথা বলার সময়ে অজ্ঞাতনামা ০৪ জন যুবক হাতে ধারালো চাকু নিয়ে মাহমুদুল হাসানকে হত্যার হুমকী দিয়ে ক্যান্টিনের পিছনে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট করে। সে সময় একজন ধারালো ছুরি দিয়ে মাহমুদুলকে হত্যার হুমকী দিয়ে তার পরনের কাপড় ছিঁড়ে ফেলে তার সাথে থাকা সহকর্মীর সাথে কয়েকটি ছুবি তুলে তা ফেসবুকে ভাইরাল করে দেয়ার হুমকী দিয়ে তার নিকট হইতে টাকা দাবী করে। বাদী টাকা দিতে না চাহিলে অজ্ঞাতনামা আসামীগন তার মানিব্যাগে থাকা পঁচিশ হাজার টাকা,একটি স্মার্ট ফোন এবং ০১ টি বাজাজ ডিসকভার মোটরসাইকেল কেড়ে নিয়ে দ্রুত চলে যায়।
পরদিন ভুক্তভোগী থানায় মামলা করলে, তাৎক্ষণিকভাবে বগুড়া জেলার পুলিশ সুপারের নির্দেশে সদর সার্কেল জনাব মোঃ শরাফত ইসলাম ও অফিসার ইনচার্জ বগুড়া মোঃ সাইহান ওয়ালীউল্লাহ এর দিক নির্দেশনায় বগুড়া সদর থানার একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তাসহ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জহুরুলনগরের মেসকাত আহমেদ তন্ময়(১৭), কাটনারপাড়ার আব্দুর রউফের ছেলে সাফি(১৬) ও বাদুরতলার তিব্বতের মোড়ের ফিরোজের ছেলে ফারদিন আহম্মেদ মানসিফ(২০) কে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানায়, আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হইবে। এছাড়া পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান আছে।